শিরোনাম
১৯ শে নভেম্বর ঐতিহাসিক মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস।
বিস্তারিত
১৯ শে নভেম্বর ঐতিহাসিক মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই দিন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাদের সহায়তায় মুকুন্দপুর রেল স্টেশন, আখাউড়া রেল স্টেশন সহ আশেপাশের এলাকা নিজেদের দখলে নেয়। এই রেলপথ গুলো সিলেট থেকে ঢাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল। তাই মুক্তিযোদ্ধারা এসকল এলাকা দখলে নেয়ার কারণে পাক হানাদার বাহিনীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যাহত হয়। ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশের এই এলাকাগুলো দ্রুতই শত্রুমুক্ত হতে থাকে এবং আমরা পাই স্বাধীন বাংলদেশে। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক পরম আরাধ্য ফলাফল।
প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও মুক্তিযোদ্ধারা যখন ১৯ শে নভেম্বর ঐতিহাসিক মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস উদযাপনের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন তখন থেকেই আমি এই উদ্যোগের সাথে ছিলাম। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সেজামুড়া মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের সহায়তায় আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস ২০২১ উদযাপিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই আয়োজন যেন পরিণত হয়েছিলো বিজয়নগরের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এক মহামিলন মেলায়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরেন। রূপকথার মতো সেই দৃশ্যপটগুলো তাদের বর্ণনায় যেন ফুটে উঠেছিল আমাদের সবার চোখের সামনে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয় আজকের এই আয়োজন।
এমন চমৎকার একটি আয়োজনে আমন্ত্রিত করে আমাকে সম্মানিত করার জন্য এবং কিছু দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য শ্রদ্ধাভরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি। মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনা ছড়িয়ে যাক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে।