Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ যেনো স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেলক্ষ্যে সদাশয় সরকার ইতোমধ্যেই নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
বিস্তারিত
প্রিয় বিজয়নগরবাসী,
আস সালামু আলাইকুম।
আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন যে আগামী ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রি. তারিখে বিজয়নগর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল অর্থাৎ ২৫ নভেম্বর, ২০২১ খ্রি. তারিখে ছিলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষদিন। উপজেলা নির্বাচন অফিসার প্রদত্ত তথ্যমতে, বিজয়নগর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে মোট ৩৫৫ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মোট ১০৭ জন ব্যক্তি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই বাছাই কার্যক্রম চূড়ান্ত করার পরে এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলে আমরা জানতে পারবো পুরো উপজেলা থেকে মোট কতজন এই বছরে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ যেনো স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় সেলক্ষ্যে সদাশয় সরকার ইতোমধ্যেই নানান কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিয়োগকৃত ৫ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন একটি গ্রহণযোগ্য ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন বিজয়নগরবাসীকে উপহার দেয়ার জন্য। কিন্তু যেকোনো মহৎ কাজেই জনসাধারণের সম্পৃক্ততা অবশ্যই প্রয়োজন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ প্রণয়ন করেছে যেখানে একজন প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থকরা কি কি করতে পারবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত বলা আছে। সকলকে সময় সুযোগ অনুযায়ী উক্ত বিধিমালা পড়ে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনাদের সুবিধার্থে আমি পুরো বিধিমালা এই পোস্টের সাথে সংযুক্ত করে দিয়েছি। একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে। এর কোনোরূপ ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে উপজেলা প্রশাসন বিধিমালাতে উল্লেখিত দন্ড আরোপে কুন্ঠাবোধ করবে না।
যদিও পুরো বিধিমালাটা এখানে দেওয়া হয়েছে তবুও আমি আপনাদের সুবিধার্থে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় উদ্ধৃত করে দিচ্ছি।
১. কোন প্রার্থী বা প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে বা প্রদানের অঙ্গীকার করতে পারবেন না। (বিধি - ৪)
২. কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনরূপ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবেন না। (বিধি - ৫)
৩. কোন প্রার্থী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোন সরকারি কার্যালয় বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে পারবেন না। (বিধি - ৬)
৪. পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোন জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না। উল্লেখ্য যে, পথসভা ও ঘরোয়া সভা করার জন্য কমপক্ষে ২৪ ঘন্টা পূর্বে স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করতে হবে। তবে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এমন কোন রাস্তায় পথসভা করতে পারবেন না এবং সেই উদ্দেশ্যে কোন মঞ্চ তৈরি করতে পারবেন না। প্রতিপক্ষের পথসভা কিংবা ঘরোয়া সভায় বাধা সৃষ্টি করতে পারবেন না। অনুমোদিত কোন পথসভা কিংবা ঘরোয়া সভায় বাধা প্রদানকারী কিংবা গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করতে হবে। সরাসরি নিজেরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না। (বিধি - ৭)
৫. নির্বাচনের পোস্টার ৬০ সেন্টিমিটার x ৪৫ সেন্টিমিটার মাপ এর মধ্যে থাকবে। পোস্টার আবশ্যিকভাবে সাদা কালো রঙের হতে হবে। পোস্টার ছাপানো ছবি সাধারণ ছবি অর্থাৎ পোর্ট্রেট ছবি হতে হবে। কোন অনুষ্ঠান কিংবা মিছিলে নেতৃত্বদান কিংবা প্রার্থনারত ছবি পোস্টারে ব্যবহার করা যাবে না। কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা নির্বাচনী এলাকার দেয়ালে বা যানবাহনে কোনরকম পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাতে পারবেন না। (বিধি - ৮)
৮ নং বিধিটি আরো বিশদভাবে পড়ে নেয়ার অনুরোধ করা হলো।
৬. প্রতীক হিসেবে কোন ভাবেই জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। (বিধি - ১০)
৭. কোন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় কোন সড়ক বা জনগণের ব্যবহারের জায়গায় নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন না।
চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ তিনটি, সাধারণ সদস্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ একটি, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ একটি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবেন। নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসে কোন প্রকার টিভি, ভিসিআর, ভিসিডি বা ডিভিডি বা অনুরূপ কিছু ব্যবহার করতে পারবেন না। (বিধি - ১২)
৮. কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী একটি ওয়ার্ডে একের অধিক মাইক্রোফোন বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী কোন যন্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন না। মাইক কিংবা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী কোন যন্ত্র কেবলমাত্র দুপুর দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। এর বাইরে অন্য কোন সময়ে এ সকল যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। (বিধি - ২১)
৯. কোনরূপ ধর্মীয় উপাসনালয় নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা যাবে না। (বিধি - ২০)
১০. সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় বা নির্বাচনী কার্যক্রম কোনরূপ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভোটার হলে তিনি ভোট প্রয়োগ করার জন্য কেন্দ্রে যেতে পারবেন। (বিধি - ২২)
দন্ড: কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে কোন ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার অন্তর্গত কোন বিধি লংঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদন্ড বা অনধিক ১০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। (বিধি - ৩১)
সর্বোপরি পুরো বিধিমালা পড়লে নির্বাচনী আচরণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে তাই প্রত্যেক প্রার্থী বা তাদের শুভাকাঙ্খীদের উক্ত নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং সেই মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে যেই বিধিগুলো সচরাচর ভাঙ্গার প্রবণতা পরিলক্ষিত হয় সেগুলো লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে।
আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিজয়নগর উপজেলায় ২০২১ সালে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ও দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
ধন্যবাদান্তে,
এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
বিজয়নগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
26/11/2021